শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের চাচাত ভাই ও সাবেক পিএস একরামুল হক বিজয় ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোহনপুর উপজেলা কৃষক লীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবাকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পরে হাবিবা সেখানেই অনশনে বসেন। এরপর তাকে আবারো পেটাতে পেটাতে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে তাকে দুই দফা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে।
বুধবার বিকালে শেখ হাবিবা জানান, তিনি দুপুরে উপজেলা চত্বরে এলে বিনা কারণে একরামুল হক বিজয় তাকে পেটাতে থাকেন। পিটিয়ে তাকে রেখে চলে গেলে হাবিবা প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানেই অনশনে বসে পড়েন। পরে বিকালে আবারো বিজয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে টেনে হিঁচড়ে ও পেটাতে পেটাতে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।
তিনি জানান, তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পরে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির সভায় ছিলাম। সভা থেকে বের হয়ে চিৎকার শুনি। এরপর জানতে পারি শেখ হাবিবা কোনো কারণ ছাড়াই হট্টগোলের সৃষ্টি করেছেন। একজন নারীকে মারধর করেছেন। এর চেয়ে বেশি আমি জানি না।
মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার এমপি আয়েনের সাবেক পিএস ও চাচাতো ভাই একরামুল হক বিজয় বলেন, হাবিবা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ডলি নামের একজন নারীকে মারপিট করছিলেন। এ সময় আমি হাবিবাকে থামানোর চেষ্টা করি। এ কারণে হাবিবা আমার ওপর চড়াও হয়। তাকে আটকে রাখা বা পেটানোর অভিযোগ সঠিক না। আর আমি কি তাকে মারব, আমাকেই কামড় দিয়ে খামছে আহত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর থানার ওসি সেলিম বাদশা বলেন, আমি আইজিপি স্যারের অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে ছিলাম। মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। হাবিবার মারপিটে ডলি নামের একজন নারী আহত হয়েছেন। তাকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আর হাবিবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উভয়পক্ষ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রা/অ